করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে আজও ঢাকায় ফিরছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। তাদের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকে মুখে মাস্কও পরেননি।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বিধিনিষেধে জরুরি সেবার যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচলের সুযোগে এসব যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলো পারাপার হচ্ছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দুই পাশের ঘাট থেকে আসা-যাওয়া করা ফেরিতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এদিকে, মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, থ্রি হুইলার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ভেঙে ভেঙে মহাসড়কে উঠছে।
এরপর কৌশলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।
এছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকা ছেড়ে অনেকে নানা উপায়ে পাটুরিয়া প্রান্ত দিয়ে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া এসে বিপাকে পড়েছেন। তারা ফেরি পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় ঘাটে কৌশলে ঘোরা-ফেরা করছেন।
অপরদিকে, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মহাসড়কে টহলের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতও। এসময় বাইরে বের হওয়ার সঠিক কারণ জানাতে এবং তার প্রমাণ দিতে না পারলে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দীন বলেন, ‘সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে এই রুটে জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই সুযোগে যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল উঠছে। ফেরিতে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের বিষয় প্রশাসন দেখে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িগুলো যথাযথ কারণের প্রমাণ দিতে পারলেই কেবল ফেরির টিকিট পাচ্ছে।’
নদী বন্দর / পিকে