লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইন্টারন্যাশনাল অরগ্যানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মুখপাত্র সাফা মেহলি জানান, গত রোববার শরণার্থীদের বহনকারী ওই নৌকাটি খুমসের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। খবর আল জাজিরার।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই নৌকাটিতে কমপক্ষে ৭৫ জন আরোহী ছিলেন। মেহলি নিশ্চিত করেছেন যে, দুর্ঘটনার পর ওই নৌকা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শরণার্থীরা নাইজেরিয়া, ঘানা এবং গামবিয়ার নাগরিক।
যাত্রার পর ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে নৌকাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে এটি উল্টে যায় এবং ডুবে যাওয়ার কারণে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক টুইট বার্তায় মেহলি জানিয়েছেন, স্থানীয় জেলে এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় জীবিতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, যারা ডুবে মারা গেছে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ নারী এবং দুই শিশু রয়েছে।
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে প্রাণহানি এটা সর্বশেষ ঘটনা হলেও এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে। ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে। প্রায়ই এ পথে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও লোকজনকে এ থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।
মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ভূমধ্যসাগরে অপর এক দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ জন ডুবে মারা গেছে। সে সময় আরও ৫শ জনকে লিবিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়। গত কয়েক মাসে লিবিয়া দিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রবেশের ঘটনা বেড়ে গেছে।