‘একটি সেতুর জন্য কর্তৃপক্ষকে কতোবার বলেছি কিন্তু কেউ আমাদের সেতুর কাজটি করে দিলো না। শেষ বয়সেও পানিতে ভাসতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০১ সালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প রাজারপাট ডাঙ্গা গুচ্ছগ্রাম গড়ে ওঠে। এ গ্রামটিতে রয়েছে ১২০টি পরিবার। কিন্তু তাদের যাতায়াতের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা বা সেতু না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামটির দু’পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া ও চাওয়াই নামে দুটি নদী। এজন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা নিজ উদ্যেগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। যার উপর দিয়ে যাতায়াত করে বয়স্কসহ শিশুরা।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রামটি গড়ে ওঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত খাবার পানির টিউবওয়েলের সমস্যা, টয়লেটের সমস্যা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ঘর ভেঙে পড়ার পাশাপাশি সেতুর ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। এসময় তারা সরকারের কাছে এই গ্রামে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান আলী জানান, চলাচলের জন্য খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে নদী পারাপার করতে সমস্যা হওয়ায় স্কুলে যেতে পারছে না।
আলেমা আক্তার আলো নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়লে আমাদের ভেজা কাপড়ে স্কুলে যেতে হয়। আবার নদীর পানি বেড়ে গেলে আমরা স্কুলে যেতে পারি না।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। গুচ্ছগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাওয়াই নদীর উপর দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে