1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কাজ শেষ না হতেই রাজবাড়ীতে আবারও নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস - Nadibandar.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১
  • ১৮৮ বার পঠিত

রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (প্রথম পর্যায় সংশোধিত) প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই পৃথক দুটি পিচিং স্থানের প্রায় ১০০ মিটার ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বাঁধটি। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় গোদার বাজারের এনজিএল ইট ভাটা পূর্ব ২০ মিটার ও পশ্চিম পাশে ৮০ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে যায়। ধসেপড়া স্থান থেকে বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিটারের মতো।

এর আগে ১৬ জুলাই শুক্রবার গোদার বাজার চরসিলিমপুর অংশের পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের স্থানের কাজ শেষের দুই মাস না যেতেই প্রায় ৩০মিটার অংশের পিচিং ব্লকে ধসে যায়। পরে ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জুলাইতে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের রাজবাড়ী পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজের আড়াই কিলোমিটার অংশের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়। যা এখনও চলমান। এ অবস্থায় ১০০ মিটার ধসে যায়।

jagonews24

এদিকে, ভাঙনরোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটে ৩ ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশে ৩৭৬ কোটি ব্যয়ে কাজ শুরু হয়। যা এখনও চলমান। কিন্তু সে কাজেরও চলমান অবস্থায় গোদার বাজারের চর সিলিমপুর এলাকায় ৩০ মিটার ধসে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্লক দিয়ে বাঁধের কাজ বছরের পর বছর স্থায়ী হয়। কিন্তু এবার শুরু থেকেই কাজ ভালো হয়নি। নতুন মাটির ওপর সোলিং করে ব্লক বসিয়েছে। আর নিচে যে গাইড ওয়ালের সাপোর্টিং দেয়া প্রয়োজন ছিল, সেটিও দেয়নি। যে কারণে ব্লক বসানোর দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ধসে পড়ল। এখন যেভাবে ভাঙছে তাতে দ্রুত রোধ না করতে পারলে পুরো বাঁধ ভেঙে শহরে পানি প্রবেশ করবে।

jagonews24

এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু চেষ্টা চলছে। এ কাজের জন্য ২০১৬-১৭ সালে ডিজাইন করা হয়। তখন নদীর যে গতিপথ বা অবস্থা ছিল, এখন সেটা নাই। হয়তো সে কারণে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। আর কাজের গুণগত মান নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।’

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com