নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানিয়েছেন, ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার নদীগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ১৯ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশন এবং বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানে আর্থিক ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায়ের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে জমাট বাধা পলিথিন অপসারণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। গ্রেভ ড্রেজার সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে এ কার্যক্রম শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।
বৈঠকে নদীর সীমানার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছে জমি বরাদ্দ অথবা লিজ না দেয়ার বিষয়ে কমিটি গুরুত্বারোপ করে। এছাড়া, নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজে সহযোগিতার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশন যাতে নদী দখলদারদের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করেন, সে বিষয়ে নদী রক্ষা কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র ড্রেজিং না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে