শিল্পকারখানা খোলার ঘোষণায় আজও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। বাস ও লঞ্চ চালুর ঘোষণার পর থেকে ফেরীতে যাত্রীদের চাপ কমলেও লঞ্চে উপচেপড়া ভিড়। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে সহজেই যাত্রীরা গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ঘর ও লঞ্চ এলাকায় মানুষের চাপে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা। বাসের টিকেট কাউন্টারেও ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড়।
শরিয়তপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী ফয়সাল বলেন, ‘লঞ্চে মানুষের অনেক ভিড় তাই ফেরি করে পদ্মা পাড়ি দিলাম। গতকাল যেতে পারিনি তাই আজকে যাচ্ছি।’
ঘাটে থাকা নারায়ণগঞ্জ গামী যাত্রী বলেন, ‘আমাদের অফিস খোলা। আজ যেতে না পারলে চাকরিই থাকবে না তাই যাচ্ছি। অফিস থেকে বারবার কল দিচ্ছে। দুপুরের মধ্যে থাকতে হবে।’
পদ্মা পাড়ি দেয়া দেলোয়ার নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘লঞ্চে ৩৫ টাকার ভাড়া ৫৫ টা নেয়া হচ্ছে তাও দুই-তিনগুণ বেশি যাত্রী। রিস্ক নিয়ে নদী পার হইলাম। যে কোনো সময় বিপদ ঘটতে পারতো। এখন বাসে আবার ৬০ টাকার ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকা চাচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব রহমান বলেন, ‘নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে বর্তমানে ১০ টি ফেরি ও ৮৬টি লঞ্চ সচল রয়েছে। আজও ফেরিতে প্রচুর যাত্রীরা আসছে। তবে লঞ্চ চালু হওয়ায় যাত্রীর চাপ কমেছে।’
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেইমান বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত সকল লঞ্চ চলবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।’