সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বাসের হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই হেলপারের নাম রশিদ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার জেলার দিরাই পৌর শহরে চলন্ত বাসে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ওই বাসের চালক ও চালকের সহকারী। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে বাস থেকে লাফ দেন ওই ছাত্রী। এতে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে। তবে চালক ও তার সহকারী পলাতক রয়েছেন।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার চাচা বলেন, দিরাই পৌর শহরে তাদের বাড়ি। তার ভাতিজি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সিলেটে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশেই তাদের বাড়ি। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। শনিবার দুপুরে সিলেট থেকে দিরাইগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তাকে তুলে দেন তার বড় বোনের স্বামী। বাসটি যাত্রাপথে পথে বারবার থেমে যাত্রী ওঠানামা করতে করতে আসছিল। একপর্যায়ে বাসটিতে তার ভাতিজি একা হয়ে পড়ে। তখন সুযোগ পেয়ে বাসের সহকারী তার পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। ধস্তাধস্তির এক ফাঁকে তার ভাতিজি বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, একা পেয়ে বাসের চালক ও তার সহকারী মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিলেন। মেয়েটি তখন বাস থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
নদী বন্দর / পিকে