1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পদ্মার চরে কলা চাষে চমকে দিলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১
  • ১১৯ বার পঠিত

মো. ইয়াকুব আলী। তিনি একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পদ্মার চরে আগাছা পরিষ্কার করে তিনি করেছেন কলা চাষ। প্রায় চারশত বিঘা পরিমাণ জমিতে কলা চাষ করে এখন তিনি একজন সফল কলা চাষি।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পদ্মার চরাঞ্চলের প্রায় চারশত বিঘা (১৪০ একর) জমির কাশবন ও আগাছা পরিষ্কার করে সেখানে কলাচাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা চরহরিরামপুর ও গাজীরটেক ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর ঘেঁষে হাজারবিঘা, হরিরামপুর চর, চরশালেপুর ও সামাদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ১৪০ একর জমির বড় বড় কাশবন ও আগাছা পরিষ্কার করে তিনি আবাদযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। এসব নিষ্ফলা জমিতে তিনি সবরি কলা চাষ করে বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষক পদ্মার চরের কাশবন ভেঙ্গে গড়ে তুলেছেন কলা বাগান। এতে উপজেলার শত শত একর অনাবাদী জমি এখন হয়ে ওঠেছে কলা চাষের আবাদভূমি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইয়াকুব আলী ২০১৫ সাল থেকে পদ্মার চরের পৃথক আট খণ্ডে জমির কাশবন ভেঙে গড়ে তোলেন ৮টি কলা বাগান। প্রতি বছর পদ্মা চরের তার বাগান থেকে মোট ১ লাখ ১২ হাজার কাধি কলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কাধি কলা ৩৬০ টাকা থেকে চারশত টাকা করে বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার কলা বিক্রি করে চলেছেন বলে তিনি (চেয়ারম্যান) জানান।

চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের পতিত কাশবনগুলো মালিকানাধীন কৃষকদের কাছ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়েছি। পদ্মা নদীর চারটি চরের ১৪০ একর পতিত জমিতে আমার আটটি কলা বাগান রয়েছে। মৌসুমের চৈত্র-বৈশাখ মাসে কলা আবাদ শুরু করতে হয়।

আটটি কলা বাগানে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার সবরি কলা গাছ। প্রতিটি কলা বাগানের চারপাশ দিয়ে রয়েছে পদ্মা নদী। তাই কলা বাগানে সেচের জন্য নদীর পাড়ে বসানো হয়েছে ১৭টি পানি সরবরাহর সেচের মেশিন।

তিনি আরও জানান, এক কাধি কলা উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় ১২০ টাকা। আর প্রতি কাধি কলা বিক্রয় হয় সাড়ে তিনশত টাকা থেকে চারশত টাকা দরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারিরা এসে বাগান থেকে ট্রলার বোঝাই করে কলা কিনে নিয়ে যান।

বিগত কয়েক বছর কলা চাষ করে লাভবান হলেও গত বছর বন্যায় পানিতে ডুবে সবগুলো কলাগাছ মরে গিয়েছিল। এ বছর আবার নতুন করে কলা গড়তে হয়েছে বিধায় খরচের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তিনি কলা উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. হযরত আলী বলেন, কলা চাষ লাভজনক প্রকল্প। কলা চাষিদের সব রকম পরামর্শ সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।

নদী বন্দর / বিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com