ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চল ও সুদানের সীমান্তবর্তী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শরণার্থীরা রয়টার্সকে গত সোমবার জানায়, ইথিওপিয়ার তাইগ্রে ও সুদানের সীমান্তবর্তী নদীতে ভাসছিল মরদেহগুলো। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইথিওপিয়ার বিরোধপূর্ণ তাইগ্রে অঞ্চলের যেসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছিল সেসব এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সেইতিত নদী। এই নদীতেই পাওয়া যায় মরদেহগুলো।
একজন চিকিৎসক যিনি ইথিওপিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন তিনি বলেন, ‘জেলেরা যেসব মরদেহ শনাক্ত করছেন আমরা সেগুলো সৎকার করছি। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে।’ সোমবার পর্যন্ত আরও কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান তিনি।
যদিও ইথিওপিয়ার সরকার পরিচালিত এক টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলটি তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে।
কিন্তু গত বছর ইথিওপিয়ার ফেডারেল সেনাবাহিনী ও টিপিএলএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে।