মাদারীপুরে গভীর নলকূপ খননকালে খননের জায়গা দিয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। দুদিন ধরে গর্তের মুখ দিয়ে আগুন জ্বলছে। রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সুতারকান্দি গ্রামের মাহফুজ ফকিরের বাড়ির পেছনের জায়গা দিয়ে এ গ্যাস বের হচ্ছে। তবে দুদিনও গ্যাস নির্গমন বন্ধ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে বাড়ির পেছনে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন মাহফুজ ফকির। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নলকূপ স্থাপনের জন্য ৯৫ ফুট গভীরে পাইপ প্রবেশ করামাত্র পাইপগুলো ঠেলে ওপরে উঠে আসতে শুরু করে। বারবার চেষ্টা করেও পাইপ প্রবেশে ব্যর্থ হন শ্রমিকরা। হঠাৎ পানির সঙ্গে গ্যাস বের হতে থাকে। তাতে দেয়াশলাই বা লাইটার ফায়ার করামাত্র আগুন জ্বলে উঠছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভেজা কাপড় দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একাধিকবার চেষ্টার পর এক পর্যায়ে আগুন বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার (৪ আগস্ট) ভোর থেকে আবারো আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনা দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। দুদিনেও আগুন বন্ধ না হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাহফুজ ফকির বলেন, ‘নলকূপটি যেখানে বসানো হচ্ছে, তার পাশেই বাড়ি ও আশপাশের লোকজনের হাঁটাচলার রাস্তা। গ্যাস নির্গমন বন্ধ না হওয়ায় সবার মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলার তুলনায় রাতে আরও বেশি আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। এখনই এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) তারা মিয়া বেপারী বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। শিগগিরই কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দায়িত্ব কোথাও শুধু আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। এর বাইরে কোনো দায়িত্ব নেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে নেভানো হয়েছে। বিষয়টি কন্ট্রোলকে জানানো হয়েছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
নদী বন্দর / বিএফ