1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার ব্যানারে বাসে যাত্রী পরিবহন - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১২৭ বার পঠিত

সামনে সাঁটানো রয়েছে একটি পোশাক কারখানার ব্যানার। সম্পূর্ণ সিটের পাশাপাশি গাদাগাদি করে দাঁড় করিয়ে পূর্ণ করা হয়েছে যাত্রী। কিছুদূর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী দেখে বাসটিকে থামানোর সংকেত দেন দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তারা। গাড়টি থামাতেই হঠাৎ নেমে যান যাত্রীরা। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, তারা কেউ পোশাক কারখানার লোক না। পরে গাড়িচালককে জরিমানা করে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকার একটি চেকপোস্টের দৃশ্য এটি।

jagonews24

ওই বাসচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার গাড়িটি ইয়াং ওয়ান কারখানার। গাড়ি যেতে দেরি হওয়ায় কারখানার কর্মীরা অন্য গাড়িতে চলে গেছেন। তাই আমি কয়েকজন অন্য কারখানার কর্মী নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর ফাঁকে কিছু সাধারণ যাত্রী উঠে গেছেন। আমি তো আইডি কার্ড চেক করে গাড়িতে তুলিনি।’

এ সময় এক নারী যাত্রী বলে ওঠেন, ‘ভাই আমরা অল্প বেতনে চাকরি করি। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ টাকা খরচ করে আমরা কীভাবে যাতায়াত করব?’

jagonews24

এরপর ওই চেকপোস্টে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখা গেছে, কয়েক মিনিট পরপর বিভিন্ন পোশাক কারখানার ব্যানারে বাস যেতে থাকে। তবে চেকপোস্টের কিছুদূর আগে থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখলে থামানোর সংকেত দিচ্ছেন সেখানখার দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। থামিয়ে যাচাই-বাছাই করা হলে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, পোশাক কারখানার কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীও পরিবহন করা হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাসের সবাই সাধারণ যাত্রী।

দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ কারখানার নামে নিবন্ধিত যত বাস আছে, বাস্তবে তার চেয়ে বেশি চলে। সকালবেলা বিভিন্ন কারখানামুখী বাসের চাপ থাকে। আবার বিকেলবেলা ছুটির সময়ে কারখানাফেরত গাড়ির চাপ থাকে। ওই সময় গাড়ির চাপ থাকায় সব গাড়ি চেক করাও কঠিন হয়ে পড়ে। তবে গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রীর উপস্থিতি দেখলেই থামানোর সংকেত দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কখনো পোশাক কারখানার কর্মীর সঙ্গে সাধারণ যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।

jagonews24

জানতে চাইলে টাইগারপাস এলাকার পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শেখ ফরহাদুজ্জামান বলেন, ‘কারখানার ব্যানারে যাত্রী পরিবহন করতে দেখলেই আটক কিংবা জরিমানা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক যেসব গাড়ি সড়কে চলাচলেরে সুযোগ নেই, আমরা এগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।’

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। দুই দফা ঘোষণায় এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধের শুরুতে খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে মালিকদের অনুরোধে একপর্যায়ে গত ১ আগস্ট রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়া সরকার।

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com