উচ্চ কিংবা নিম্ম রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। রক্তচাপ বেশি বেড়ে যাওয়াও যেমন বিপজ্জনক; ঠিক তেমনই নিম্ম রক্তচাপও বিপদের কারণ হতে পারে। এজন্য সবসময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। না হলে হৃদরোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সময় মতো তা পরীক্ষা করাও জরুরি। সবসময় তো আর বাইরে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানো সম্ভব হয় না। এজন্য অনেকেই অসুবিধা এড়াতে ঘরেই রক্তচাপ পরীক্ষা করেন। তবে রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। না হলে ফলাফল ভুল আসতে পারে।
প্রথমেই জানতে হবে প্রেসার মাপার সময় কীভাবে বসবেন? একটি টেবিল সংলগ্ন চেয়ারে বসুন। চেয়ারের পিছনে হেলান দিন। হাত দুটো এমনভাবে টেবিলের উপর রাখুন, যেন হৃদযন্ত্রের সমতলে হাত দুটো থাকে। এবার রক্তচাপ মাপার কাফটি কনুই থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার উপরে বাঁধুন।
খুব ঢিলা বা খুব শক্ত কোনোটাই করবেন না। এবার কনুইয়ের উপর হাত দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনীর অবস্থান নির্ণয় করে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসান। ডায়াফ্রাম কাপড়ের উপর রাখবেন না। খেয়াল রাখুন মিটারের স্কেলটি যেন হৃদযন্ত্রের সমতলে থাকে।
এবার জেনে নিন রক্তচাপ মাপার সময় কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
>> রক্তচাপ মাপতে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করছেন; সেটির কাফ সাইজ আপনার উপযুক্ত কি-না তা দেখা দরকার। কেনার সময় এটি খেয়াল রাখুন।
>> রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি কেনার পর, সেটি সঠিক পরিমাপ দেখাচ্ছে কি-না তা বুঝতে একজন চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
>> দিনে অন্তত দুইবার রক্তচাপ মাপুন। সকালে উঠে রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার আগে একবার মাপুন। আবার সন্ধ্যায় পুরমাপ করুন। প্রতিদিনই এই নিয়ম মেনে চলুন।
৪) রক্তচাপ পরীক্ষা করার অন্তত আধঘণ্টা আগে থেকে খাবার, ধূমপান, অ্যালকোহল বা চা-কফি এড়িয়ে চলুন।
>> রক্তচাপ মাপার সময় শান্ত হয়ে বসুন। বিশেষ করে রক্তচাপ মাপার আগে অন্তত ৫ মিনিট চেয়ারে বসে থাকুন।
>> জামা বা কাপড়ের উপর রক্তচাপ মাপার কাফটি রাখবেন না। ত্বকের উপর রাখুন।
>> তিন মিনিট না হলে একই হাতে পরবর্তীতে রক্তচাপ মাপবেন না। এতে ভুল ফলাফল আসতে পারে।
এসব নিয়ম মেনে আপনি ঘরেই রক্তচাপ মাপতে পারেন নিয়মিত। তবে অনেকেই এসব বিষয় খেয়াল না রাখার ফলে, রক্তচাপ পরিমাপ করেও সঠিক ফলাফল জানতে পারেন না। তাই এসব দিখে খেয়াল রাখা উচিত।
সূত্র: এনডিটিভি
নদী বন্দর / পিকে