বগুড়ার ধুনটে যমুনার বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের আরো ৩০ মিটার অংশ ভেঙে বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। পানির তোড়ে সোমবার মধ্যরাতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয় এই স্পারে। এতে স্পারটি অনেকটাই দ্বিখন্ডিত হয়েছে। ফলে ভাঙনের ঝুকিতে পড়েছে যমুনা নদীর বাঁধসহ জনবসতি এলাকা।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০৩ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পরটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর থেকে নদীর পানি অনেক দূর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঝুঁকিমুক্তি ছিল স্পারটি।
কিন্ত নদীর বুকে ডুবু চর জেগে ওঠায় গেল বৃহস্পতিবার পানির তোড়ে ভেঙে যায় স্পারের ২০ মিটার অংশ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে শুরু করে মেরামত কাজ। তবে মেরামত কাজ চলাকালেই সোমবার রাতে ওই অংশসহ আরো ৩০ মিটার স্পার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এতে স্পারের অগ্রভাগের ঢালাই করা অংশ থেকে মাটির তৈরি অংশ আলাদা হয়েছে। ওই স্পারের উপরের অংশ পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঢালাই করা অংশ। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোত বেড়ে গেলে স্পারের অগ্রভাগের অংশ নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী, করিম বক্স, রফিকুল ইসলামসহ অনেকে জানান, পাউবো ধসে যাওয়া স্থানে ধীর গতিতে মেরামত কাজ করছিল। এ কারণে মঙ্গলবার সকালে পানির প্রবল চাপে স্পারের ওই স্থানে নতুন করে ২০ মিটার ধসে যায়। এ নিয়ে স্পারের ৫০ মিটার অংশ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মতো টেকসই মেরামত কাজ করলে স্পারটি বার বার নদীগর্ভে বিলীন হতো না বলে জানান এলাকাবাসী।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, বানিয়াজান স্পারের ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পাউবো ধসে যাওয়া স্থান মেরামতের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত মেরামত কাজ শেষ হবে।
নদী বন্দর / জিকে