মহামারি করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও অসময়ে শিম চাষে চাষিরা সফলতার স্বপ্নে বিভোর। মাঠের পর মাঠজুড়ে শিম ক্ষেত। শিমের সবুজ ক্ষেতে নতুন ফোটা সাদা ফুলে এক অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে। সাথে ছড়ায় ছড়ায় ঝুলছে শিম। চোখে পড়ার মতো এমন দৃশ্য এখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবিতপুর গ্রামের মাঠে।
শিম শীতকালীন সবজি হলেও কালীগঞ্জে মাঠে চাষ হওয়া শিম চাষে ভালো ফলন ও মূল্য পাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষকরা জানান, এ শিমগাছ বৃষ্টি সহিঞ্চু। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি সিম ১০০ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসেবে এবার প্রতি বিঘায় খরচ বাদে তারা প্রায় লাখ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের সুবিতপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অনেক কৃষকই তাদের ক্ষেতে অসময়ের শিমের চাষ করেছেন। ওই গ্রামের সবজি চাষি বাপ্পারাজ জানান, সিম সাধারণত শীতকালীন সবজি।
এর আগে বর্ষাকালে চাষ হত না। কিন্তু ভিন্ন জাতের এ শিম এখন বারোমাস চাষ করা যায়। তিনি এবার চার বিঘা জমিতে এ ভিন্ন জাতের শিম চাষ করছেন। তারমতে তাদের গ্রামের কৃষক রফি উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, হাসেম আলী, ইমরান হোসেন, হারুন অর রশিদ, রহমত, পান্নু রহমান, আব্দুল সাত্তারসহ অনেক কৃষক প্রায় অর্ধশত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ জাতের শিম চাষ করছেন।
শিমচাষি শহিদুল ইসলাম জানান, অসময়ের আবাদ করা এ শিম নতুন সবজি হিসেবে বাজারে বেশ চাহিদা। দামও বেশি থাকে। ক্ষেতেও ভালো ফলন হচ্ছে। তারা জানান, প্রতি বিঘা শিম চাষে বীজ, সার, কীটনাশক ও মাচার টাল দেয়া বাবদ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে এ শিমের বীজ বপন করতে হয়। পরবর্তীতে চারা গজানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় ফুল আসে। এরপর দেড় মাস পর থেকেই শিম তোলা শুরু হয়। একটানা ৬ মাস পর্ষন্ত ক্ষেত থেকে সিম উঠানো যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোহায়মেন আক্তার জানান, এ বছর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার কৃষকেরা জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ করেছেন। অসময়ের শিম হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছেন। ফলে কৃষকেরা দিন দিন শিম চাষে ঝুঁকছেন।
নদী বন্দর / সিএফ