কঠোর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার প্রথম দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরির পাশাপাশি চালু হয়েছে লঞ্চ। ফলে লঞ্চে ভিড় থাকলেও ফেরিতে যাত্রীর উপস্থিতি তেমন নেই।
বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে শিমুলিয়াঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে নৌরুটের বহরে থাকা ১৭ ফেরির মধ্যে গত কিছুদিন যাবত ৯-১০ ফেরি চললেও আজ চলাচল করছে পাঁচটি।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, নৌরুটে বর্তমানে ৮৭ লঞ্চ ও পাঁচটি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ডাম্প, ছোট ও রোরো ফেরি চলাচল করছে না। চালু থাকা ফেরিগুলোর মধ্যেও ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
এদিকে গণপরিবহন সচল হওয়া শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে সহজেই ঢাকাসহ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে নৌরুটে ৮৭ লঞ্চ সচল রয়েছে। উভয়মুখি যাত্রীই পারাপার হচ্ছে। তবে সকাল থেকে ঢাকামুখি যাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। বিধিনিধিষেধ উঠে যাওয়ায় ঢাকামুখি কর্মজীবী মানুষই বেশি পারাপার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মাহবুবর রহমান জানান, নৌরুটে পাঁচটি মিডিয়াম ফেরি সচল রয়েছে। লঞ্চ চালু হওয়া ফেরিতে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। শিমুলিয়া ঘাটে তিন শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারি যানবাহন পার হবে কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কোনো কাগজপত্র আমরা এখনও পাইনি। তবে প্রতিটি ফেরিই কমসংখ্যক যানবাহন নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ