এ বছরের বাকি সময়ও নিউজিল্যান্ডের সব সীমান্ত বন্ধ থাকবে উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে আর অর্থনীতির চাকা পুনরায় চালু করতে সুক্ষ্ম কৌশল অবলম্বন করাই সহজ পথ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।
জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, আগামী বছর কোয়ারেন্টাইন ফ্রি ভ্রমণের জন্য নিউজিল্যান্ড পৃথক ঝুঁকিমুক্ত মডেল অনুসরণ করবে। দেশের মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে পুরোপুরি ভ্যাকসিনের আওতায় আনার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে যেসব দেশ সাফল্য দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। ৫০ লাখের কম জনসংখ্যার দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মাত্র ২৬ জন।
বিশ্বের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডবাসীর পুনরায় সংযোগবিষয়ক এক ফোরামে জেসিন্ডা বলেন, আমরা এখনও পুরোপুরি সবকিছু স্বাভাবিক করে দেয়ার অবস্থানে নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগোতে চাই যেন আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কাজ করে এবং নিশ্চিত সম্ভাবনা তৈরি হয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বছর যখন দেশে সবকিছু খুলে দেয়া হবে তখন কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের নাগরিকরা কোয়ারেন্টাইন ছাড়া চলাফেরা করতে পারবেন এবং উচ্চঝুঁকিতে থাকা দেশের নাগরিকদের সেলফ আইসোলেশনে অথবা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারায় সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন জেসিন্ডা। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও সুক্ষ্ম লকডাউনের কারণে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার কম।