1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মুন্সিগঞ্জে কলা নিয়ে দুশ্চিন্তা - Nadibandar.com
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১৪২ বার পঠিত

মুন্সিগঞ্জের রামপালের সাগর কলার খ্যাতির কথা দেশজুড়ে প্রায় সবাই জানতো। তবে সময়ের বিবর্তন রামপালে সুখ্যাতি ছড়ানো কলা এখন আর দেখা যায় না। রামপালের কলাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় একসময় গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন কলার আড়ত। এসব আড়ত এখনো থাকলেও নেই রামপালের কলা।

এদিকে বিগত দিনের বিধিনিষেধ ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাইকার আসা কমেছে কলার আড়তগুলোতে। এতে পর্যাপ্ত কলার মজুদ থাকলেও আড়তদাররা আশানুরূপ কলা বিক্রি করতে পারছে না। সারি সারি কলা অবিক্রিত থাকায় লোকসানের দুশ্চিন্তাও করছেন কেউ কেউ।

Banana

সরেজমিনে শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় রোববার সকালে দেখা যায়, সবরি, সাগর, চাপাসহ বিভিন্ন জাতের কাঁচা-পাকা কলার পসরা সাজিয়ে আড়তদাররা বসে আসেন। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। কয়েকটি আড়তে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা দর-দাম করলেও বেশিরভাগ আড়তেই ই সারি সারি পাকা অবিক্রিত কলা রয়েছে।

আড়তদাররা জানায়, হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় ১২থেকে ১৫টি আড়তে কলা বিক্রি হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার মুক্তারপুর, আলদী, টঙ্গীবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় কলার আড়ত রয়েছে। বিগত কঠোর বিধিনিষেধে সব জায়গার চিত্র একই ছিল।

Banana

সাম্প্রতিক কঠোর বিধিনিষেধ আর সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে কলার বাজারে বিক্রি কমেছে অনেকটাই। মুন্সিগঞ্জের আড়ত থেকে বিপুল পরিমাণ কলা বিক্রি হতো পাশের লঞ্চঘাট ও লঞ্চে। কঠোর বিধিনিষেধ লঞ্চ বন্ধ থাকায় এতদিন লঞ্চেও বিক্রি করা কলা বিক্রি করা যায়নি।

হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের আড়তদার আলমগীর হোসাইন জাগো নিউজকে জানান, এখন আর বিক্রমপুরের কলা নেই। তাই আড়তে উঠানো যায় না। এখন দিনাজপুর, রাজশাহী, যশোর, ঝিনাইদহ থেকে কলা এনে বিক্রি করা হয়। কলা মজুদ হয়ে আছে পর্যাপ্ত। তবে এতদিন গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে পারেনি। বেঁচা-কেনাও কম, আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না।

Banana

আরেক বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ জানান, সবরি কলার একটি পৌন কিনে আনা হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ ধরে। হালি পরে ১৫-১৬ টাকা। এক ছড়ায় মাত্র ১০-১৫ লাভ থাকছে। ক্রেতা বেশি থাকলে অল্প করেও অনেক লাভ হত। ক্রেতা কম তাই টুকটাক বিক্রি হলেও আগের চেয়ে বিক্রি কমেছে। লাভও কমেছে।

আরেক আড়তদার মো. দুখু মিয়া বলেন, লকডাউন (বিধিনিষেধ) না থাকলে প্রতিদিন সকালে এক-দেড়শো ছড়া কলা বিক্রি হত। এখন ৫০ ছড়া বিক্রি করতেই কষ্ট হয়। এতদিন দূরের কাস্টমার আসেনি। মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে আর লঞ্চেও বিক্রির করা জন্য খুচরা বিক্রেতারা কলা নিতো। এতদিন লঞ্চ বন্ধ তাই তারাও আসতে পারেনি।

Banana

আড়তদার মো. নাছির মিয়া জানান, ৩৫-৪০বছর যাবত কাঁচামালের ব্যবসা করি। কখনো লাভ হয় কখনো লোকসান হয়। তবে এবার দীর্ঘদিন যাবতই কলা বিক্রি করে তেমন পোষাতে পারছি না।

 

নদী বন্দর / বিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com