বর্ষাকালে স্থানীয় কৃষিজমি থাকে পানির নিচে। তখন এ সব জমিতে থাকে না কোনো ফসল। তবে বিলে ঝিলে বসে শাপলা ফুলের মেলা। জাতীয় এ ফুল দেখতে যেমন মনোহর, তেমনি এর লতানো কাণ্ড সবজি হিসেবে খেতে বেশ সুস্বাদু।
কাণ্ডগুলোর দৈর্ঘ্য সাধারণত পানির উচ্চতার ওপর নির্ভর করে। পানি যত গভীর কাণ্ড তত দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকের তেমন কাজ থাকে না। তাই এ মৌসুমে বাড়তি রুজির আশায় তাদের পরিবারের অনেকেই শাপলা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করেন। এ সময়ে শাপলা বিক্রির অর্থে চলে তাদের সংসার। তবে সাময়িক এ পেশার সুবিধা এই যে, এ জন্য কোনো পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
তাই অনেক পুঁজিহীন গরিব কৃষক এ পেশায় পয়সা উপার্জন করতে পারেন। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত শাপলা পাওয়া যায়। এ সময় কৃষক পরিবারের সদস্যরা ভোর থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত নৌকা নিয়ে শাপলা সংগ্রহ করেন। পরে তা পাইকারি ক্রয়কেন্দ্র রসুনিয়া কিংবা তালতলা নিয়ে পাইকারদের কাছে বিক্রয় করেন।
দানিয়াপাড়া গ্রামের পাইকার মো. আজহার মিয়া জানান, সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন শাপলা সংগ্রহ করে থাকেন। রাতে সেই শাপলা ট্রাকে ভরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন। এ ছাড়া এলাকার গ্রামগঞ্জের হাটবাজার ও বাড়ি বাড়ি ঘুরে শাপলা বিক্রি করতে দেখা যায়। গত কয়েক বছর যাবত্ এ ব্যবসা এলাকায় বেশ প্রসার লাভ করেছে।
নদী বন্দর / পিকে