পরিকল্পিতভাবে গতকাল বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করেছে পুলিশ। বিএনপিকে নির্মূল করতে সরকার মরিয়া। তারা লোকসমাগম দেখলে ভয় পায়। তাই জিয়াউর রহমানের মাজারে হাজার হাজার লোকের সমাগম দেখে ভীত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে এক দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাবেক এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, জেলা বিএনপির নেতা জয়নাল আবেদিন বাবুল, মোসাদ্দেদ আলী বায়ুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রিজভী বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সর্বোচ্চ নিপীড়ন-নির্যাতন করছে সরকার। গতকাল পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করে উল্টো বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে, আটক করছে। পুলিশের হামলায় গুরুতর আহত মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম ও দলের সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সিরিজ বোমা হামলায় বিএনপি জড়িত নয় বরং আওয়ামী লীগ জড়িত। তৎকালীন বিএনপি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আওয়ামী লীগ এসব হামলা করেছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে সামনে আনছে সরকার। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশবাসীও গর্ববোধ করে।
গুম-খুনের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, জাতিসংঘের পর এবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বাংলাদেশে গুম হওয়াদের অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া ও জাতিসংঘের অধীনে তদন্তের দাবি করেছে।