করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়া হলেও টেকনাফে নেই পর্যটকদের আনাগোনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে টেকনাফ সি বিচের সাবরাং জিরো পয়েন্ট, টেকনাফ হ্যাচারি জোন সি-বিচ পয়েন্ট, নাফ মেরিন শিশু পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন পয়েন্ট ঘুরে দেখা মিলেনি ভ্রমণ পিপাসুদের।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃষ্টির কারণে পর্যটক আনাগোনা নেই। তবে দ্রুত টেকনাফ-কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্র জমে উঠবে বলে প্রত্যাশার তাদের।
সরেজমিনে টেকনাফ সি-বিচ পয়েন্টে দেখা যায় বেশ কয়কজন সামুদ্রিক মাছ শিকারীকে। তারা কেউ নৌকার মালিক, কেউ শ্রমিক আবার কেউ জেলে। এছাড়া দেখা মেলে জিপ চালকদের।
জিপ চালক সৈয়দ নুর জানান, এ পয়েন্টে অন্যান্য সময়ে সকাল-বিকাল পর্যটকের দেখা মিলতো। করোনার কারণে সি-বিচে নামা নিষেধ ছিল। আজ খোলার খবর শুনে সকালে এসেছি।
তবে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে হয়তো কেউ ঘর থেকে বের হয়নি।
স্থানীয় নৌকার মালিক নুরুল ইসলাম ও মো. রশিদ জানান, এখানে সকাল -বিকাল জেলে নৌকা ও সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে পর্যটকদের দারুণ মিতালি ঘটে। কিন্তু আজ বৃষ্টি বাধ সেধেছে।
নাফ মেরিন শিশু পার্কের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কবির জানান, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দিলেও বর্ষার কারণে বিনোদন কেন্দ্রটি খুলতে পারছি না।
টেকনাফ বিচের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পুলিশ বক্সের পাশের চটপটি ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, ১১ আগস্ট থেকে ব্যবসা চালু করেছি। প্রতিদিন সকাল-বিকালে লোকজন আসে। কিন্তু বৃষ্টির সময় জনসমাগম শূন্য থাকে। আজকেও একই দৃশ্য বিরাজ করছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনে উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এটি চালু হলেই পর্যটকদের পদভারে জমে উঠবে সেন্টমার্টিনকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
নদী বন্দর / জিকে