দূর থেকে দেখে মনে হয় একটি জলাশয়। কাছাকাছি গেলে বোঝা যায় সেখানে মানুষের বসবাস। কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় এমন দুর্ভোগে পড়েছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি বাজার এলাকায় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মহিলা মাদ্রাসা, দক্ষিণে যমুনা ইউরিয়া সার কারখানা এবং পশ্চিমে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থান। পুরাতন বাজার এলাকাটির পশ্চিম দিকে দেড় শতাধিক পরিবারের প্রায় ৬-৭ শতাধিক মানুষের বসবাস। কিছুদিন আগে কে বা কারা এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের দুটি কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে ভারি বর্ষণ আর যমুনা সার কারখানার বর্জ্য মিলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
স্থানীয়রা বলছেন, কালভার্টের দুই পাশেই বিস্তৃত তারাকান্দি এলাকা। কালভার্টের পূর্ব দিকের কিছু অংশ চরপাড়া গ্রামের অন্তর্ভুক্ত। কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিলে এই পূর্ব অংশে কোনো জলাবদ্ধতা হয় না। যমুনা সার কারখানার বর্জ্যও ওই এলাকায় প্রবেশ করে না। এতে জমি-জমা, ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না। তাই কালভার্টের পূর্ব দিকে যাদের অবস্থান তারাই নিজেদের স্বার্থে কালভার্টের মুখ বন্ধ রেখেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কারও কোনো উদ্যোগ নেই। নোংরা পানি মাড়িয়ে প্রতিদিন কাজে যেতে হয়। এমনকি জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রায় পাঁচ একর জমির ফসল।
আব্দুস সালাম মাস্টার, খলিলুর রহমান, শহীদুল ইসলামসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য তিতাস অফিস ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন দুটি কালভার্টের মুখ খোলা থাকলে এমন দুর্ভোগ থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হতো। তিতাস সংলগ্ন কালভার্টের মুখ খুলে দিলে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কল করলে তিনি ধরেননি। তবে অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে ফিরতি বার্তায় তিনি জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদী বন্দর / সিএফ