গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কমেছে পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টের পানি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টের পদ্মার পানি।
রোববার সকালে দৌলতদিয়া, পাংশা ও মহেন্দ্রপুরের পানি পরিমাপের গেজ লিডাররা এ তথ্য জানায়।
এদিকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় নিম্নচরাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছেন চরাঞ্চলবাসী।
দৌলতদিয়া কুশাহাটা চরের বাসিন্দা খায়রুল জানান, কুশাহাট এলাকায় প্রায় ১২০ পরিবারের বসবাস। এখন পর্যন্ত কারও বাড়িতে পানি ওঠে নাই। তবে বাড়ির চারপাশে পানি। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে হয় নৌকায়। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে দ্রুত ঘরবাড়িতেও উঠবে। এর মধ্যে আবার চরের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া পাংশার বাহাদুরপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, সদরের খানগঞ্জ, মিজানপুর, বরাট ও দৌলতদিয়ার দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে অনেক স্থানে চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ।
এদিকে বালিয়াকান্দির গড়াই নদীর পানি বাড়ায় নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম, জামসাপুরের নিম্নচরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ওই এলাকার ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আজিজ মহাজন জানান, গড়াই নদীর পানি বাড়ায় চরের প্রায় ৩৫টি বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী আব্দুল আহাদ জানান, শুধু দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে। তবে বন্যার তেমন আশঙ্কা নাই।
নদী বন্দর / বিএফ