মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এতে দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজারও মানুষ। অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়া পদ্মাসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ইছামতী, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানির স্তর পরিমাপক মো. ফারুক হোসেন জানান, আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি, বাঘুটিয়া, শিবালয়ের অন্বয়পুর, হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ও কাঞ্চনপুর, সদর উপজেলার কুশেরচর ও সিংগাইর উপজেলার জামশা এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এসব এলাকায় হুমকির মুখে রয়েছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলিজমি ও রাস্তাঘাট।
মানিকগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমেই জেলায় নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকমাস ধরেই পদ্মা-যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে যে সব এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা চলছে। পরিকল্পনা রয়েছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরও।
নদী বন্দর / বিএফ