গত এক সপ্তাহ ধরে রাজবাড়ীতে বাড়ছে পদ্মার পানি। এতে জেলার ১১টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও রান্না-বান্না নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সোমবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক এ তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর তীরবর্তী অংশে রয়েছে চারটি উপজেলা। প্রতিবছর নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় এসব উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এবছর পাংশার হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, কালুখালীর কালিকাপুর, রতনদিয়া, রাজবাড়ী সদরের চন্দনী, খানগঞ্জ, মিজানপুর, বরাট, গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া এবং গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধিতে বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রাজবাড়ী সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশনের পয়েন্টে পদ্মার পানি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, রোববার পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৫১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। এরমধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১১০০টি, পাংশায় ১২৩০টি, গোয়ালন্দে ১৯৫০টি, কালুখালীতে ৩২০০টি ও বালিয়াকান্দিতে ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি। তাদের জন্য ৭৩ দশমিক ২৫ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৬৭ হাজার টাকা ও ৩৩৩-নম্বরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
নদী বন্দর / সিএফ