ফরিদপুরে বন্যার পানিতে ধরা পড়া বিরল প্রজাতির হলুদ রঙের কচ্ছপটি বর্তমানে ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কচ্ছপটি নিয়ে গবেষণা করতে তাদের কাছে রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রোববার (২২ আগস্ট) সদর উপজেলার বিশ্বাস ডাংগী (অম্বিকাপুর) এলাকা থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, কচ্ছপটি একেবারেই নতুন প্রজাতির। এটি হলুদ রঙের। এর ওজন আনুমানিক দেড় কেজি ও ব্যাসার্ধ ৮ ইঞ্চির মতো। কচ্ছপটির বিষয়ে খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (২৩ আগস্ট) খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের আসার কথা থাকলেও তারা আসেননি। পরবর্তীতে আসবেন বলে জানালেও নির্দিষ্ট করে দিন উল্লেখ করেননি।
এদিকে খবর পেয়ে ফরিদপুর বন বিভাগের কার্যালয়ে এসে যোগাযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শমী।
তিনি জানান, এটি সুন্ধিজাতীয় কচ্ছপ হলেও এ প্রজাতির হলুদ বর্ণের কচ্ছপ সাধারণত দেখা যায় না। তিনি জানান, সুন্ধিজাতীয় কচ্ছপ মেটে ও ধূসর রঙের হয়। এটির ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তন কিংবা অন্য কারণে হলুদ রঙ হয়ে থাকতে পারে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি পুকুর থেকে হলুদ রঙের কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার আগে জুলাইয়ে ভারতের ওডিশায় একই রঙের কচ্ছপ পাওয়া গিয়েছিল।
অন্যদিকে বিরল প্রজাতির এ কচ্ছপটি নিজের পার্কে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জেলার বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া এলাকার জল জংলা ভিলেজ পার্কের মালিক শামসুজ্জামান বেগ।
নদী বন্দর / জিকে