ভারতে মাছ রফতানির ট্রাক তল্লাশি নিয়ে বিজিবি-কাষ্টমস এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। বন্দর এলাকার মধ্যে মাছ রফতানি পন্যবাহী পিকআপ তল্লাশি নিয়ে বাকযুদ্ধে নামে দুটি সরকারী সংস্থা। এসময় প্রায় দুই ঘন্টা রফতানি বন্ধ ছিল। অবশেষে বন্দর এলাকায় লিংক রোডে বিজিবি মাছের কার্টুন খুলে দীর্ঘ সময় পরীক্ষা করে কোন অনিয়ম পায়নি।
রফতানির সময় কাস্টম কর্মকর্তারা মাছের ট্রাক গুলোতে থাকা ট্যাংরা,পারসি,তেলাপিয়া ও ভেটকি মাছ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতে রফতানির অনুমতি দেয়। বাধ সাথে বিজিবি সদস্যরা , মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ আছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে তারা রফতানিমূখী ট্রাক গুলো আটকে দেয়।
কাস্টমস সুত্র জানায়,সোমবার রাতে ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৭৯১১, ঢাকা মেট্রো-ন-৮৭০০ ও খুলনা মে: ট-১৩১৫নং ট্রাকে করে মাছের চালান ভারতে রফতানির সময় বন্দরের অভ্যন্তরে বিজিবি ট্রাক গুলো আটক করে। পরে কাস্টমস এর অনুমতি না নিয়েই তারা ট্রাক ৩টিতে থাকা সবক’টি মাছের কার্টুন খুলে তন্ন তন্ন করে তল্লাশী করে কোন অনিয়ম পায়নি। কি›ন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকার ৭ মে: টন মাছ নস্ট হয়ে যায় রফতানিকারকের।
বিজিবির এ ধরনের হয়রানির কারনে মাছ রফতানিকারকরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রফতানি করতে চাইছে না বলে মাছ রফতানিকারক এরশাদুল আলম জানান। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ৪৯ বিজিবির এলাকায় ২১ বিজিবির একটি দল এসে ৩ ট্রাক সাদা মাছ রফতানির সময় তা জব্দ করে কিভাবে।
বিজিবি রফতানিকৃত মাছ বন্দর থেকে জব্দ করে নিয়ে যেতে চাইলে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বাধা দেয়। যদি কোন ইনফরমেশন থাকে তবে কাস্টমস ও বিজিবি যৌথভাবে তল্লাশী করার বিধান থাকলেও বিজিবি সদস্যরা তা আমলে নেয়নি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক নির্দেশনায় বলা হয় উচ্চ পচনশীল মাছ দ্রুত খালাশ করতে হবে। মাছের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সাউথ ফুড লিমিটেড, খুলনা ও নিলা এন্টারপ্রাইজ নামে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যেকোন পণ্যচালান পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয়ার পর অন্য কোন এজেন্সির গোপন সংবাদ থাকলে তা কাস্টমস এর সাথে সমন্বয় করে পরীক্ষঅ নিরীক্ষা করার বিধান রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, ২১ বিজিবির সুবেদার মশিউর রহমানকে মাছের চালান কাস্টমস এর সাথে সমন্বয় করে দেখার কথা বললেও বিজিবি তা মানেনি। বন্ডেড এলাকার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শুল্ক পণ্য আটক করলে তা কাস্টমসের সাথে সমন্বয় করে দেখার বিধি মালা রয়েছে। কিন্তু বিজিবি এসব মানে না ২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মঞ্জুর এলাহী জানান, মাছের চালান জব্দ করে তল্লাশী করার সশয় কাস্টমস এর সাথে বিজিবির কোন মতবিরোধ হয়নি। আমাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল রফতানিমুখী সাদা মাছের ভেতর ইলিশ মাছ যাচ্ছে। তাই মাছের ট্রাক গুলো তল্লাশী করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে