দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রের সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে ভোলার কায়াকিং পয়েন্ট। উদ্বোধনের পর খুব কম সময়ে জনপ্রিয়তা পায় লেকের পানিতে কায়ায়িং। বাড়তে থাকে ভ্রমণপ্রিয়দের ভিড়। কিন্তু ভিন্ন চিত্র বিধিনিষেধ পরবর্তী পর্যটনে। খোলার সপ্তাহ গড়ালেও এখনো মুখর হয়ে ওঠেনি এই পর্যটনকেন্দ্র। এতে হতাশ পরিচালকরা।
এখন প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ জনের বেশি পর্যটক আসছে না বলে জানিয়েছেন কায়াকিং পরিচালনাকারীরা।
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ভেদুমিয়া বাজার সংলগ্ন লেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে গড়ে ওঠে বরিশাল বিভাগের প্রথম কায়াকিং পয়েন্ট ‘ভোলা কায়াকিং’। চারদিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পয়েন্টটি শুরু থেকে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। প্রতিদিনই ভোলা জেলাসহ বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত পর্যটক ছুটে আসেন। দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কায়াকিং পয়েন্টে সবচেয়ে কম খরচে ঘোরার সুযোগ রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে অনেকটাই পর্যটকশূন্য কায়াকিং।
বরিশাল থেকে ঘুরতে আসা মো. সিয়াম ও ফাহিম সিকদার বলেন, ফেসবুকে এখানকার সৌন্দর্যের অনেক ছবি দেখেছি। বন্ধুদের কাছেও এখানকার বিবরণ শুনেছি। আজ আমরা আটজন বন্ধু মিলে বরিশাল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
তারা আরও বলেন, সারাদিন এখানে ঘুরলাম। কায়াকিং করে লেকে অনেক সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে ভোলা কায়াকিং পয়েন্টের মতো এমন সৌন্দর্যের স্থান বরিশাল বিভাগে নেই।
ভোলা সদর থেকে এসেছেন মাহমুদুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম। তারা বলেন, আমরা প্রায়ই বিকেলে এখানে ঘুরতে আসি। কখনো বন্ধুদের সঙ্গে আবার কখনো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তবে এখন ভিড় কম।
ভোলা কায়াকিং পয়েন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. শরীফ আহমেদ জানান, ভোলার কায়াকিং পয়েন্টটি বরিশাল বিভাগের প্রথম কায়াকিং পয়েন্ট। দারুণ সৌন্দর্যের জায়গা এটি। তবে এখনো আগের মতো ভিড় জমে ওঠেনি।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা কমে গেছে। এখন এখানে বেড়াতে আসা লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। এতে আমাদের স্টাফ খরচসহ বিভিন্ন খরচ ওঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আশায় রয়েছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কায়াকিং পয়েন্ট জমজমাট হয়ে উঠবে।
নদী বন্দর / বিএফ