সাতটি নদীর পানি ১৫টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ১২টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি কমছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এই পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার কুশিয়ারা ছাড়া প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে বলেও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, সাতটি নদীর পানি ১৫টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ ও সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, পোড়াবাড়ি, মথুরা ও আরিচা পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন, আত্রাইয়ের পানি বাঘাবাড়ী, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম এবং দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে বলেও জানান আরিফুজ্জামান ভূইয়া।
নদী বন্দর / সিএফ