প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরও আট হাজার ৬৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল সাত হাজার ৪৪৩ জনের।
এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৮৬ হাজার ১৬ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল সাড়ে চার লাখের বেশি।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৪ জনে। শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৭৯ লাখ ৯০০ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওই তালিকায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৮ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৩৯৩ জন।
সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৩৮ হাজার ৫৯২ জন।
সংক্রমণের ওই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ৭ লাখ ৫২ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৩ জন।
সংক্রমণের তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন, ইরান, ইতালি।
সংক্রমণের তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২৬ নম্বরে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ হাজার ১০৯ জন। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।
এরই মাঝে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু করেছে।
নদী বন্দর / জিকে