রাজবাড়ীর তিনটি পয়েন্টেই পদ্মার পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গত কয়েকদিনে দৌলতদিয়া ও সেনগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছিলো। টানা পানি বাড়তে থাকায় দুর্ভোগ কমছে না পানিবন্দি সাত হাজার পরিবারের।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ৫২ সেন্টিমিটার, পাংশার সেনগ্রামে ছয় সেন্টিমিটার বেড়ে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং সদরের মহেন্দ্রপুরে আট সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক মাস পানিবন্দি থাকায় পানিবাহিত রোগ, চলাচল, রান্না, খাওয়াসহ দেখা দিয়েছে নানা সমস্য। এছাড়া পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। সেই সঙ্গে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা দেয়া শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, পানি বাড়লেও নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেলায় ৭ হাজার ৫১৫টি পানিবন্দি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর / সিএফ