সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণের ফলে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ধলিয়া খালের উপর স্থানীয়দের উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মিত কাঠের ঝুলন্ত সেতু। আকস্মিক প্রবল বর্ষণে পানির স্রোতে কাঠের ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয়দের স্বপ্নের কাঠের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের দায়িত্ব নেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ. দা) মো. হেদায়েত উল্যাহকে।
দায়িত্ব গ্রহণের চারদিনের মাথায় নির্মিত হয় মানুষের স্বপ্নের কাঠের ঝুলন্ত সেতুটি। ফলে লাঘব প্রায় দশ হাজার মানুষের দুর্ভোগ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সেতুটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ. দা) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় তিনটি ওয়ার্ডের বিশ গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকা যখন থমকে দাঁড়ায় তখন জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ও অর্থায়নে চারদিনের মাথায় সেতুটি পুনরায় নির্মাণ শেষে ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে দুর্ভোগ লাঘব হলো।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তপ্তমাস্টার পাড়া এলাকায় ধলিয়া খালের উপর ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের জিপেবল সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালের দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সেতুর মাঝামাঝি অংশের মূল পিলারের গোড়া থেকে মাটি সরে গেলে প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এরপর ২০১৯ সালে নিজেদের শ্রমেই ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫ ফুট প্রস্থ কাঠের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে স্থানীয়রা। যা সাম্প্রতিক টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়ে।