‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেতে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়লো আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে পুরস্কারের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার কথা ছিল। তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সময় বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন এ তথ্য জানান। এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
এ পর্যন্ত পুরস্কার দাবিদার এক হাজার ৩০০ জনের মতো ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশন করেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এবং যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন সংকটময় মুহূর্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক যুবাদের অনন্য মানবিক অবদানের স্বীকৃতি দিতে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর অধীনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তরুণদের ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে একক ও দলীয়ভাবে মোট ১০০ জনকে পুরস্কার ও সম্মাননা দেবে।’
এসময় আখতার হোসেন বলেন, ‘চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুবাদের আর্তমানবতার সেবায় রাখা অবদানের স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।’
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডের লোগো উন্মোচন করা হয়েছে জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘মোস্ট ইন্সপায়ারিং ভলান্টিয়ার স্টোরি, মোস্ট ইমপ্যাক্টফুল ইনিশিয়েটিভ, বেস্ট ইনোভেটিভ আইডিয়া, কর্পোরেট সাপোর্ট ইন ভলান্টারি ইয়্যুথ অ্যাক্টিভিটিস, মোস্ট ইমপ্যাক্টফুল মিডিয়া পার্সোনেল, কমিউনিটি লিডারশিপ অ্যান্ড সার্ভিস, ইনভায়রনমেন্টাল রেসপন্স, অ্যাক্ট অব ব্রেভারি, সার্ভিস অ্যাক্সেলেন্স এবং আউটস্ট্যান্ডিং ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন- এসব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিতে সরকারের পাশাপাশি তরুণরা যে ভূমিকা রেখেছেন এটি বিশ্বে নজিরবিহীন। এই তরুণদের আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই। তরুণরা বলেন, আমরা ভালো ভালো কাজ করি কিন্তু আমাদের পাশে কেউ থাকে না। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের পুরস্কার দেব। আমরা মনে করি এর ফলে আমাদের তরুণরা আশাবাদী হবেন, ভবিষ্যতে ভালো ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবেন। নতুন নতুন ভলান্টিয়ার তৈরি হবে।’
নদী বন্দর / পিকে