সাগরে লঘুচাপ ও জোয়ারের পানির চাপে ভোলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশের দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যেই আবার পানি নেমে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে বসতবাড়ি, ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ে। ভেসে যায় পুকুর-ঘেরের মাছ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভোলা সদরের মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুর, বলরামসুরা, লালমোহনের কচুয়াখালী, মনপুরা উপজেলার চর নিজাম, কলাতলির চর, চর যতিন, চরজ্ঞান, চরফ্যাশনের চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চর পাতিলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ঢাল চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারের পানি ঢুকে ইউনিয়নটির সব গ্রামই তলিয়ে যায়। এছাড়াও বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাটও জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। ভেসে যায় পুকুর ও ঘেরের মাছ। জোয়ারের সময় পানিবন্দি থাকেন কয়েক হাজার মানুষ।
তিনি আরও জানান, জোয়ার হলেই নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধের আশেপাশের এসব চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, অমাবশ্যার প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
নদী বন্দর / জিকে