1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১২৩ বার পঠিত

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। এরই মধ্যে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উপকূলবর্তী এলাকার চাষিদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান। চাষিরা এসব ফসল চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় নতুন করে কৃষি বিপ্লব ঘটবে।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ঘেরের আইলে আগাম শিম চাষ, অফ-সিজন তরমুজ ও মরিচ চাষ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এসব এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হতো। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকতো। এই প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে বছরে কীভাবে দুইবার বা তিনবার ফসল চাষ করা যায়- সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে আসছি। এরই মধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়।

সেচের পানির সমস্যা দূর করতে খুলনা, বাগেরহাটে ছয়শর বেশি খাল খনন বা পুনঃখনন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

 

পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, ব্রির ডিজি ড. শাহজাহান কবীর, বারির ডিজি নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, উপকূলীয় এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ২৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য ২১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। আর লবণাক্ত এলাকার পরিমাণ ১০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর। এছাড়াও লবণ পানির ভয়াবহতার কারণে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে উপকূলীয় এলাকায় ৫ লক্ষাধিক হেক্টর জমি অনাবাদি থেকে যায়।

নদী বন্দর / জিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com