1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
জেনে নিন থাই সরপুঁটি মাছের চাষ পদ্ধতি - Nadibandar.com
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মেধাসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে পাকিস্তানকে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও দেবে না ভারত, ঘোষণা মন্ত্রীর রোমে বাংলাদেশ হাউস পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা রাঙামাটিতে পিকআপ-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৫ আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৩২৮৮ জন আইন উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুয়া প্রতিবেদন পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আজ, ভ্যাটিকানে উপস্থিত ইউনূসসহ বিশ্ব নেতারা ভারত-পাকিস্তান সমাধান বের করে নেবে: ট্রাম্প গাজায় এক দিনে ৮৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৪৫ বার পঠিত

অনেকেই থাই সরপুঁটি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এটি দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় সবাই এ মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। থাইল্যান্ডের বিশেষ প্রজাতির মাছ এটি। দেশি সরপুঁটির মতো এটি দেখতে, তাই একে থাই সরপুঁটি বলা হয়। তবে এর বর্ণ দেশীয় সরপুঁটির চেয়ে আরও উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় রঙের।

থাই সরপুঁটি খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রতিকূল পরিবেশে কম অক্সিজেনযুক্ত বেশি তাপমাত্রার পানিতেও এ মাছ বেঁচে থাকতে পারে। বাড়ির আশপাশেই থাকা মাঝারি আকারের পুকুর কিংবা ডোবায় এ মাছ চাষ করা যায়। এসব পুকুর-ডোবায় বছরের অধিকাংশ সময়ই পানি থাকে না। গ্রামাঞ্চলের পতিত এ পুকুর-ডোবাগুলো সামান্য সংস্কার করে খুব সহজেই চাষ উপযোগী করা যায়।

বেকার যুবকরা স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে এ ধরনের জলাশয়ে থাই সরপুঁটি মাছের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। রুই জাতীয় মাছের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম খরচে, কম সময়েও সহজতর ব্যবস্থাপনায় এ মাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উৎপাদন পাওয়া সম্ভব।

মিশ্র চাষ পদ্ধতি অর্থাৎ রুইসহ অন্যান্য উন্নত প্রজাতির মাছের সঙ্গেও এ মাছ চাষ করা যায়। ছয় মাসে একটি থাই সরপুঁটির পোনা গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনে পরিণত হয়। একই পুকুরে বছরে দুইবার এ মাছের চাষ করা যায়।

এ মাছ চাষের জন্য পুকুরের আয়তন ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ হতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলেও ক্ষতি নেই। তবে এক একরের বেশি না হলেই ভালো। পুকুরের গভীরতা হবে ১.৫ মিটার থেকে ২ মিটার অর্থাৎ তিন থেকে চার হাত। পোনা ছাড়ার আগে পুকুর ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে।

শুকনো মৌসুমে পুকুরের সম্পূর্ণ পানি নিষ্কাশন করে তলার মাটি ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে রোদে শুকাতে হয়। এরপর লাঙল দিয়ে কর্ষণ করে নিতে হবে। পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে রাক্ষুসে মাছ ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণী মেরে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ পর্যায়ে পুকুর প্রস্তুতির জন্য প্রতি শতাংশে এক কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে।

এবার চুন প্রয়োগের সাত দিন পর প্রতি শতাংশে ৪ কেজি গোবর, ১৫০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। সার পুকুরের তলার মাটির ওপর ছড়িয়ে দিয়ে কোদালের সাহায্যে ভালোভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের পর দ্রুত পুকুর পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে।

প্রস্তুতকৃত পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাঙ্কটনের পর্যাপ্ত মজুদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে প্রতি শতাংশে ১.৫ ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি সাইজের ৬০-৬৫টি থাই সরপুঁটির পোনা ছাড়া যেতে পারে। পুকুরে যে পরিমাণ মাছ আছে, সে মাছের মোট ওজনের শতকরা চার থেকে ছয় ভাগ হারে চালের কুড়া বা গমের ভুসি সম্পুরক খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুবার পুকুরের সব জায়গায় ছিটিয়ে দিতে হবে।

প্রতি মাসে একবার জাল টেনে মাছের গড় ওজন নির্ধারণ করে খাবারের পরিমাণ ক্রমশ বাড়াতে হবে। পুকুরে মাছের খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতি শতাংশে ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ওই পরিমাণ টিএসপি সার প্রয়োগ করা অত্যাবশ্যক। থাই সরপুঁটি সাধারণত নরম ঘাস পছন্দ করে। তাই এ মাছের জন্য ক্ষুদে পানা, টোপা পানা, নেপিয়ার ঘাস, কলাপাতা ইত্যাদি প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে হলেও সরবরাহ করা গেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এই প্রক্রিয়ায় পাঁচ-ছয় মাস পালনের পর এক একটি মাছের ওজন দাঁড়াবে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। এ সময় মাছ বাজারজাত করার পুরোপুরি উপযোগী হয়। সুস্বাদু মাছ হিসেবে বাজারে এ মাছের চাহিদাও প্রচুর।

নদী বন্দর / বিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com