পাটের ভালো ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা। এখন এ জেলায় পাট কেটে নদীতে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছড়ানোর কাজ চলছে পুরোদমে। কৃষকরা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ইসলামপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর, বাররশিয়া, দুলর্ভপুর ও খাষেরহাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে পাট চাষি সেলিম আলী জানান, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম ১০ কাঠার পাট কেটে বিক্রি করে দাম পেয়েছি ১৩ হাজার টাকা।
আর এক বিঘা জমির পাট কেটে আজ জাগ দিচ্ছি। এবার পাটের ফলন ও দাম বেশ ভালো। আশা করছি এই এক বিঘা জামির পাটে প্রায় আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাব। আর আমার তিন বিঘা জমির পাট চাষে পাটে মোট খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
শিবগঞ্জ উপজেলার মুসলিমপুর এলাকার এরফান ফারুক জানান, পাট চাষে খরচ খুবই কম তাই প্রতি বছর পাট চাষ করি এবার তিন বিঘা জামিতে পাট চাষ করেছিলাম। ফলন বেশি হওয়ায় সব কর্যক্রম শেষ করতে পারিনি। আজও এক বিঘা জমির পাট জাগ দিচ্ছি। আর দুই বিঘা জমির ২১ মণ পাট বিক্রি করেছি ২৭০০ টাকা মণ দরে।
গোমস্তাপুর উপজেলার চানপুর এলাকার রুবেল নামে আরও এক পাট চাষি জানান, তিনি ১২ কাঠা পাট চাষ করেছিলেন এ বছর এতে পাট হয়েছে প্রায় ৫ মণ বিক্রি করেছেন সাড়ে ১২ হাজার টাকায়। আর পাটখড়ি হয়েছে সাড়ে তিন মণ বিক্রি করেছেন এক হাজার টাকায়।
কানসাটের হাসান আলী নামে এক পাট আড়তদার জানান, গত বছর এসময় পাট কিনেছিলাম ১২০০-১৩০০ টাকা মণ এবার করছি ২৫০০-২৭০০ টাকা মণ দরে। আর পাটখড়ি ক্রয় করছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মণ দরে। পাটের দাম এ বছর প্রথম থেকেই ভালো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৩০৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় এবার পাট চাষ বেশি।
গত বছর শেষ দিকে ভালো দাম পাওয়ায় এবার পাট বেশি চাষ করেছিলেন চাষিরা। এবারও দাম বেশ ভালো চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। গত বছর এই জেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১৭৬৫ জমিতে।
নদী বন্দর / সিএফ