রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাটা হবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় অর্ধশত গাছ। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছনের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়নের দপ্তরের তদারকিতে চলছে এই গাছ কাটার কাজ। সরেজমিনে দেখা যায় প্রায় ১৫টি কৃষ্ণচূড়া ও মিনজিরি গাছ এরই মধ্যে কেটে ফেলা হয়েছে। আরও কাটা হবে আম, লিচু, মেহগনি, কড়ইসহ কয়েকটি গাছ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে রুয়েটের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একনেকে ৩৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে করায় হয় ৫৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই বরাদ্দের অনুকূলে ১৪টি ভবন নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে আছে তিনটি একাডেমিক ভবন, একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি ইনস্টিটিউট ভবন, একটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ, একটি শিক্ষক কোয়ার্টার, একটি শিক্ষক ডরমেটরি, একটি অফিসার্স কোয়ার্টার, একটি স্টাফ কোয়ার্টার, মেডিকেল সেন্টার ভবন এবং ভিসির বাসভবন।
জানা যায়, এসব ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছনে এবং মেজারমেন্ট ল্যাবের পেছনে প্রায় ৫০ টি গাছ কাটা পড়বে। এই গাছগুলোর বয়স ৫০ বছরেরও বেশি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে ১৫টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ জানান, রুয়েটের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরিতে একাডেমিক ভবনগুলো নির্মাণ প্রয়োজন। এরই মধ্যে বরাদ্দ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুটি স্থানের গাছ কাটা পড়ছে। তবে সেটি সীমিত। একই সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর ক্ষতি পোষাতে এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কম মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদনের পর গাছগুলো কাটা হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং সঠিক দাম পাওয়ার জন্য তিনবার টেন্ডার দিতে হয়েছে।
১৯৬৪ সালে রুয়েট প্রতিষ্ঠার পর ক্যাম্পাসে এই গাছগুলো লাগানো হয়।
নদী বন্দর / পিকে