পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মহানন্দা নদীতে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে শতাধিক স্থাপনা ও কৃষিজমি। এতে আতংকে দিন কাটছে কয়েকশ পরিবারের।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ভাঙনের কবলে পড়া রবু বলেন, আমরা খুব অসহায়, হাতে খাঁটি পেটে খাই। এ নদীর ভাঙনে আমাদের সব বিলীন হয়ে গেছে। সাত দিন আগে রাতে জোয়ারে বাড়িতে পানি ঢুকে যায়। এর পরই তলিয়ে যায় আমাদের স্বপ্ন। আমাদের এ জমি ছাড়া তো আর কিছুই নেই যে, নতুন করে বাড়ি বানাবো। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই নদীর ভাঙনের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচান।
আয়েশা বেগম বলেন, প্রতিবছরই নদীভাঙন নিয়ে আমাদের ভয়ে থাকতে হয়। ৭-৮ দিন আগে আমার ঘর বাড়ি নদিগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুটি ছাগল পানিতে ভেসে গেছে। আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি। এখন রাতের ঘুম ভালো করে হয় না, কখন যে ঝড় এসে পানিতে নিয়ে যায় তার ভয়ে।
চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. শাহ আলম বলেন, প্রতিবছরই মহানন্দা নদীর ভাঙন দেখা দেয়। এতে আতংকে থাকেন এলাকাবাসী। গত বছর প্রায় ২০-২৫ পরিবারের সবকিছু এ নদীতে তলিয়ে যায়। এবার ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। এখানে ভাঙন রক্ষার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন জানান, চৌডালা ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর / বিএফ