সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনাকে ভীতিপ্রদর্শনের আরও একটি নতুন মাত্রা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার সারাদেশে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে, তা থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। সত্য প্রকাশে নির্ভীক সাংবাদিকদের বিভিন্ন উপায়ে টুঁটি চেপে ধরার পর এখন জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও ডিআরইউ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ব্যাংক হিসাব তলবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির এটি আরও একটি নতুন কৌশল, যা উদ্দেশ্যমূলক। নজিরবিহীন এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে চরম হুমকি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো দেশটা এখন আওয়ামী দুঃশাসনের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বর্তমান সরকার শুধু বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও বিরুদ্ধ মতবাদের নাগরিকদের ওপরই জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে না, তারা গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও সত্য প্রকাশের কারণে নির্যাতন শুরু করেছে। ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনা সেটিরই বহিঃপ্রকাশ। ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সত্য প্রকাশে নির্ভীক সাংবাদিকরাও সরকারি জুলুম-নির্যাতনে জর্জরিত। সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের ঘোষণায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিভিন্ন কায়দায় দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কর্তৃত্ববাদী সরকার।
তিনি বলেন, দেশে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত করাই এখন আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবে রূপ দিতে বর্তমান সরকার নির্ভীক সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের কলম চেপে ধরছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ভয় ও আতঙ্ক দূর করে সত্য প্রকাশে দেশের বিবেক তথা গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের কর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।