ফিলিপাইনের গাঢ় লাল রঙের সুস্বাদু আঁখ এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জেলার সদর উপজেলার আমনুরা রোডের জামতলা এলাকার আমিরা এগ্রো ফার্মে চাষ হচ্ছে এ আঁখ।
এ আঁখ থেকে উৎপাদন হচ্ছে শত শত চারা আর ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। তবে এই আঁখ খাওয়ার জন্য এখনো বাজারজাত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।
সরজমিনে আমিরা এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় পৌনে দুই বিঘা জমিতে লাগানো আছে গাঢ় লাল রঙের ফিলিপাইনের আঁখ। দেখতে আসছেন অনেক মানুষ। অনেকে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় কিনতে এসেছেন বীজ ও চারা। তিনি আরও চাষ করছেন মাল্টা, কমলা, গৌড়মতি আম।
আমিরা এগ্রো ফার্মের মালিক বাবু জানান, গত বছর ১০ হাজার টাকার বীজ কিনে ২ শতক জমিতে লাগিয়েছিলাম এই ফিলিপাইনের আঁখ। সেই আঁখ থেকে চারা করে বিক্রি করে আয় করেছি প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ভালো লাভবান হয়ে এবার পৌনে দুই বিঘা জমিতে লাগিয়েছি ফিলিপাইন আঁশ এবার আশা করছি প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা পাব। ২ শতক জমিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২৪ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, আমরা একটা চারা গত বছর বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৮০ টাকা এবার চাষ বেশি হওয়ায় বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। কিন্তু এ আখেঁর দাম বেশি হওয়ায় বাজারে খাওয়ার জন্য বিক্রি হচ্ছে না। বীজ হিসেবেই বিক্রি করছি।
তবে এ আখঁ খেতে অনেক সুস্বদু, হাত দিয়েই খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়। এ আঁখ আরও বেশি মানুষ চাষ করলে দেশের মানুষ কম দামে কিনে খেতে পারবে।
বাবু বলেন, আমার বাগানে এবছর প্রায় ২০০ মণ গৌড়মতি আম ছিল গতকাল সাড়ে বারো হাজার টাকা মণ করে বিক্রি করে শেষ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় ফিলিপাইনের আঁখ চাষে সাড়া ফেলেছেন ওই কৃষক বিভিন্ন জেলা হতেই এ আঁখের বীজ কিনতে আসছেন অনেকে।
আর জেলার মাটি নাবি জাতের হওয়ায় ফেলিপাইন জাতের আখঁ ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এ আঁখ চাষ করে গত বছর তিনি ভালো লাভবান হয়েছেন এবারও ভালো আয় করবেন। সব সময় এই আঁখ চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / সিএফ