বরিশালের কির্তনখোলা নদী থেকে ঝালকাঠির সুগন্ধা হয়ে বিষখালী নদী পাড়ি দিয়ে নৌযানে চলাচল করতে হয় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। কিন্তু সিগন্যাল বাতি না থাকায় বিষখালী নদীতে ডুবোচরে একের পর এক আটকা পড়ছে যাত্রীবাহী লঞ্চ। এতে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় ঢাকা টু বরগুনাগামী পূবালী-১ নামের একটি দোতলা লঞ্চ ডুবোচরে উঠে গত সাতদিন ধরে আটকা পড়ে আছে।
১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঝড়-বাতাস শুরু হলে ওই লঞ্চটি প্রায় সাড়ে ৩শ’ যাত্রী নিয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। এতে লঞ্চে থাকা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে লঞ্চের কিছু যাত্রী রাজারহাট-বি নামে আরেকটি লঞ্চে গন্তব্যে পৌঁছায়। বাকি যাত্রীরা সকালে রওনা হন।
এর আগে, ১৩ আগস্ট একই স্থানে অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চ আটকে যায়। ১৫ দিন পর সে লঞ্চটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
এর দুসপ্তাহ পর অমাবস্যার জোয়ারে বৃদ্ধি পাওয়া পানিতে চরে উঠে আটকে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি শাহরুখ। তাও কয়েকদিন পর নামিয়ে নেওয়া হয়।
পূবালী-১ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নৌপথে বিভিন্ন স্থানে সিগন্যাল থাকার কথা থাকলেও ঢাকা টু বরগুনার পথে ঝালকাঠির পরে আর কোনো সিগন্যাল নেই। যে কারণে হঠাৎ করে দিক নির্ণয় বা কোনটা ডুবোচর তা দূর থেকে অনুমান করা যায় না। আর রাতে সিগন্যাল বাতি না থাকায় জোয়ারের পানিতে আরও বিপাকে পড়তে হয়। ঘটনার রাতে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরিশাল নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে দুজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব স্থানে সিগন্যাল বাতি নেই সেসব স্থানে শিগগিরই সিগন্যাল বাতি স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।