নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তিনটি আলাদা স্থানে হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৫৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাদুনাতেই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার স্যামুয়েল আরুওয়ান জানান, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রোববার মাদামাই গ্রামে হামলা চালালে ৩৪ জন গ্রামবাসী নিহত হন। হামলায় গুরুতর আহত আরও সাত জন। তিনি আরও জানান, হামলকারীদের লক্ষ্য করে সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, কাদুনার আরও একটি চার্চে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে একজন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন আরও কয়েকজন।
অন্যদিকে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সোকোটো রাজ্যের দুর্গম এলাকার একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য নিহত হয়েছেন।
রাজ্য সরকারের এক সদস্যের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ওই অঞ্চল থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার আরও ৫ জনের লাশ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে ১৪ জন সেনা সদস্য, ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিন জন সাধারণ প্রতিরক্ষা সদস্য রয়েছেন।
নাইজেরিয়ার সামরিক কর্তৃৃপক্ষের দাবি, জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ মালি ও বারকিনা ফাসোর মতো নাইজেরিয়াও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএসের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
২০১২ ও ২০১৩ সালের পর থেকে আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ, গরু চুরি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া প্রায়ই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা
নদী বন্দর / এমকে