হালদা নদীর পানি যদি মিরসরাই ইকোনমিক জোনের জন্য নেওয়া হয় তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শনিবার (২ জানুয়ারি) রেডিসন ব্লু হোটেলে চীন সরকারের অনুদানস্বরূপ ১৩ লাখ এলইডি বাল্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পানি তুললে মাছের প্রজনন ক্ষেত্রের কোনো সমস্যা হবে না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মিরসরাইতে ইকোনমিক জোন হবে। সেটাকে কার্যকরী করার জন্য সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এক জায়গায় শ্রমিক আছে, আরেক জায়গায় হয়তো পানি আছে। আবার অন্য জায়গায় শিল্পকারখানা তৈরির জন্য ভৌগোলিক অবস্থা দেখা যাবে খুবই ভালো। সব জায়গাকে এক জায়গায় আনতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মিরসরাইতে ইকোনমিক জোন করতে হলে সেখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সবকিছু লাগবে। এই কারণে সবার সম্মিলিত সমর্থন প্রয়োজন। এই বিষয়টিকে নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই বলে জানান তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৩৭০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়। সেখান থেকে ৩.৭ কিউসেক পানি উত্তোলন করা হলে পানিপ্রবাহের কোনো সমস্যা হবে না। হওয়ার কোনো কারণও নেই। হালদা নদী মাছের প্রজনন ক্ষেত্র। মাছের প্রজনন হয় এপ্রিল-মে-জুন এই তিন মাসে। সে সময় অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়। শুকনার সময় পানি কম থাকে। সেই সময় মাছের প্রজনন হবে না।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের ব্যাপারে সবার সহযোগিতা করা উচিত। ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে উন্নয়ন ব্যাহত হলে সবার ক্ষতি হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে