মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় শাহীন। তবে ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। ফলে রাজধানী মাসকাটে বেশ কিছু বিমানের ফ্লাইট আসা-যাওয়ার সময় পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরা, রয়টার্স।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি শিশু পানিতে ভেসে যাওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
রাজধানী মাসকাট থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৪০ মাইল) দূরে অবস্থান করছে শক্তিশালী এই ঝড়। দেশের বিপর্যয়, আবহাওয়া এবং বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৯ কিলোমিটার (৮৬ মাইল) বা তার বেশি।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল বা সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী এই ঝড়। এর ফলে তীব্র ঝোড়ো বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতীয় জরুরি সেবা কমিটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে আল কার্ম এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হতে পারে। আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর আল বাতিনাহ, আল ধাহিরা, আল বুরাইমা এবং আল ডাকলিয়ায় সরাসরি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।