তাইওয়ানের আকাশসীমায় রেকর্ড সংখ্যক চীনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে মহড়া দিয়েছে। সোমবারের এ ঘটনার পর তাইওয়ান চীনকে তাদের এ ধরনের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক কাজ’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবারের এই ঘটনার ফলে টানা চতুর্থ দিনের মতো চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করলো। এ সময়ে প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিশ্লেষকরা এ ঘটনাকে তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের আগে দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতি এক ধরনের সতর্কতা হিসেবে দেখছেন।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেকে সার্বভৌম দেশ হিসেবে দেখে।
গত এক বছর ধরেই তাইওয়ান বলে আসছে, চীনা যুদ্ধবিমানগুলো তাদের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
সোমবার চীনের যে যুদ্ধবিমানের বহর দেখা যায় সেখানে ৩৪টি জে-১৬ এবং পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ ছিল। একই দিনে পরে আরও চারটিসহ মোট ৫৬টি যুদ্ধবিমান উড়ে যেতে দেখা যায়।
এ ঘটনার পর তাইওয়ানের চীন-নীতি নির্ধারণী প্রধান কমিটি মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (এমএসি) বলেছে, ‘আমরা বেইজিং কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এ ধরনের অশান্তিপূর্ণ এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন উস্কানিমূলক কাজ বন্ধের জন্য দাবি জানায়।’
এর জবাবে চীন বলেছে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা এখন শুধুই অতীত। তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে চীন প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে। যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদিদের সমর্থন বন্ধ করতে হবে।’
নদী বন্দর / জিকে