পাখি শিকারের কথা বলে ডেকে নিয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে কিশোর বাপ্পিকে (১৫) তার বন্ধুরাই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। বাপ্পীর ‘রুক্ষ স্বভাব’ এর কারণে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তার ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। গ্রেফতার দুই আসামি শনিবার (২ জানুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছাম্মাক আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে বাপ্পীকে বাড়ির পাশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন তার বাবা মাকছেদ আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান দুই আসামি নুরুজ্জামান (২১) ও জিহাদ বাবুকে (১৭) শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে দুই আসামি জানান, বাপ্পীর সঙ্গে তাদের বাল্যকাল থেকে বন্ধুত্ব। তবে বাপ্পী কথায় কথায় বন্ধুদের গালিগালাজ করতো। তার গায়ে হাত তোলার অভ্যাসও ছিল। ক্রমেই সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার রুক্ষ স্বভাবের কারণেই তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
নুরুজ্জামান ও জিহাদ বাবু জানান, গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে পাখি শিকারের কথা বলে বাড়ির পাশের শিমের মাচার কাছে ডেকে নেয় নুরুজ্জামান ও জিহাদ বাবু। বাপ্পী সেখানে আসলেই তারা হাসুয়া দিয়ে পিছন দিক থেকে বাপ্পির ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর জিহাদ বাবু তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে মাথার পেছনের দিকে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাপ্পী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, বাপ্পী হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে