দেশের সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বক্তব্য বেশি দেওয়ার সময় নয়, এখন কাজের সময়। আমি বারবার বলেছি এই সংকট শুধু বিএনপি নয়, এটা সমগ্র জাতির সংকট। এই সংকটকে উদ্ধার করতে হলে আজকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় মির্জা ফখরুল বলেন, হত্যার পর সেদিন যারা সোচ্চার হয়েছিল সে তরুণ সমাজের আজকে কোনো কর্মসূচি দেখতে পাচ্ছি না। পরিবর্তন আসে তরুণ এবং যুবকদের মাধ্যমে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সেই তরুণ-যুবকদের আমরা সামনে দেখতে পাচ্ছি না। আবরার হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এ হত্যা দেশের যে সামগ্রিক সংকট সেই সংকটের একটা প্রতিচ্ছবি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আজকে এই সরকার আধিপত্যবাদের তাঁবেদারি করছে এবং একটি পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু আজকে নয় তারা ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত একটি তাঁবেদারি সরকারের ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশকে তারা একটি তাঁবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ চিরকাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে যুগ যুগ ধরে। আমি বিশ্বাস করি কখনোই বাংলাদেশের মানুষকে এভাবে পরাজিত করা সম্ভব হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই সরে যেতে হবে এবং জনগণের কাছে তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সাংবাদিক কনক সরওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে তিনি পালিয়ে জীবন রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে কিছু সত্য কথা তার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করেন। ফলে এই সরকার তার বোনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, তিনি একজন গৃহবধূ।
আবরারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) আয়োজনে এই স্মরণ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম রিজু। আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম ডা. জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
নদী বন্দর / সিএফ