নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম শিমুল চৌধুরীকে (৪৫) পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাদের মির্জার বিরোধী পক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের চরকাঁকড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল জানান, জেলা পরিষদ সদস্য আকরাম উদ্দিন সবুজ চৌধুরীর সঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরীর অনেক আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সন্ধ্যায় সবুজ চৌধুরীর ছেলে মঞ্জিল চৌধুরীর (২৭) সঙ্গে শিমুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আঘাত করা হয় শিমুল চৌধুরীর মাথায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি এখন রাজনৈতিক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
এ ঘটনার পর কাদের মির্জার সমর্থকদের বিরুদ্ধে সবুজ চৌধুরীর বসুরহাট ড্রিমলাইন পরিবহনের কাউন্টারে আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জামিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে রাতে কাদের মির্জার বিরোধী পক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান অভিযোগ করেন, তার বাড়িতে ৮-১০ জন মুখোশধারী ইটপাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করেছে। এতে তার বাড়ির কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সাবেক কাউন্সিলর শিমুলের ওপর হামলার ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। আর খিজির হায়াত খানের বাড়িতে ঢিল মেরে কাঁচ ভাঙচুরের ঘটনায় সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বসুরহাট। বাজারের ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে।
গত ১০ মাসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সহিংসতায় দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক গ্রুপে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই মেয়র কাদের মির্জা এবং অপর গ্রুপে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নদী বন্দর / বিএফ