লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও ডজনখানেক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কালো পোশাকে শত শত হিজবুল্লাহর সমর্থক বৈরুত জাস্টিস প্যালেসে সমবেত হন। বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের তদন্ত কার্যক্রম থেকে বিচারপতি তারেক বিতারকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাতেই মূলত বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি ওই বিচারপতি পক্ষপাতিত্ব করছেন এবং তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রের চাকর’।
বিক্ষোভের সময় কারা গুলি চালিয়েছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বৈরুতের প্রতিবেশী তায়োউনে শহরের বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনার পরপরই হস্তক্ষেপ করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী। গুলি চালানো এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ওই হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
লেবাননের রেড ক্রস আল জাজিরাকে জানিয়েছে, কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী।
এদিকে, এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ এবং আমাল মুভমেন্টের পক্ষ থেকে তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকা এবং বিদ্বেষপূর্ণ কর্মকাণ্ডের দিকে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।