1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ছয় বছরে সড়কে ৩১৭৯৩ দুর্ঘটনা, ৪৩৮৫৬ প্রাণহানি - Nadibandar.com
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১
  • ৮৩ বার পঠিত

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ছয় বছরে সারাদেশে ৩১ হাজার ৭৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজার ৮৫৬ জন নিহত এবং ৯১ হাজার ৩৫৮ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ‘নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে বিবৃতিতে নিরাপদ সড়কের জন্য সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, টানা তিনবারের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী নানা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। ১৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ছয় হাজার ৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় আট হাজার ৬৪২ জন নিহত, ২১ হাজার ৮৫৫ জন আহত; ২০১৬ সালে চার হাজার ৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় হাজার ৫৫ জন নিহত, ১৫ হাজার ৯১৪ জন আহত; ২০১৭ সালে চার হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৩৯৭ জন নিহত, ১৬ হাজার ১৯৩ জন আহত; ২০১৮ সালে পাঁচ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ২২১ জন নিহত, ১৫ হাজার ৪৬৬ জন আহত; ২০১৯ সালে পাঁচ হাজার ৫১৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৮৫৫ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৩৩০ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণে বছরব্যাপী লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় চার হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় হাজার ৬৮৬ জন নিহত ও আট হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন বলেও তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

মোজাম্মেল হল বলেন, জাতিসংঘ ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালকে সড়ক নিরাপত্তা দশক ঘোষণা করে সদস্য দেশগুলোর সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বাজেট বাড়ানো, গবেষণা, সভা-সেমিনার, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

একইসঙ্গে দীর্ঘদিন আটকে থাকা ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্রুত চালকের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা এবং সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে এসব সংস্থাগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

নদী বন্দর / সিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com